আজিম নিহাদ, কক্সবাজার ::
প্রতিদিনের মত সকালে পূজার ফুল কুড়াতে বের হন জোৎস্না বড়ুয়া। কিন্তু ফুলের পরিবর্তে তিনি পান ফুটফুটে এক নবজাতক। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় কম্বল মোড়ানো অবস্থায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ভবনের পাশের ড্রেনে নবজাতক মেয়েটি পাওয়া যায়।
নবজাতক মেয়েটিকে কুড়িয়ে পাওয়া জোৎস্না আক্তার রনতোষ বড়ুয়ার স্ত্রী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া।
জোৎস্না বড়ুয়া বলেন, রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে পূজার ফুল তুলতে গেলে শিশুর কান্না শুনতে পায়। সামনে এগিয়ে গেলে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় ড্রেনে শিশুটিকে দেখতে পায়। শিশুটি মেয়ে image সন্তান। তবে শিশুর আশেপাশে কারো সন্ধান না পেয়ে দ্রুত কুঁড়িয়ে কোলে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তিনি। সেখানে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। জোৎস্না বড়ুয়ার ধারণা, কে বা কারা ভোররাতের শিশুটিকে ওই ভবনের ড্রেনের মধ্যে ফেলে যায়।
তিনি বলেন, আজ থেকে আমার চারজন সন্তান। তাকে সমাজের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আতাউর রহমান বলেন, ওই শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে শিশুর জন্ম হয়। এরমধ্যে দুটি ছেলে এবং রাতে জন্ম নেওয়া অপরটি মেয়ে।
এদিকে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের রুজিনা আক্তার (২০) নামে এক মহিলা ভর্তি হয়। হাসপাতালের রেজিষ্টার্ড বইয়ে ওই মহিলার স্বামী আক্তার হোসেন উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সন্তান জন্মের পর ওই মহিলা হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে চলে যান। তবে জন্ম নেওয়ার পর সরকারিভাবে শিশুটিকে যেসব কাপড় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো কুঁড়িয়ে পাওয়া শিশুর গায়ে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই দু:খজনক।
পাঠকের মতামত